বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)
পরিচালক মহোদয়ের বাণী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান গবেষণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিসিএসআইআর-এ “বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল গবেষণার জন্য এনিম্যাল গবেষণাগার আধুনিকীকরণ” শীর্ষক বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০১৯ সালে অত্যাধুনিক অবকাঠামোগত ও State of the art equipments সমৃদ্ধ বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) টি প্রতিষ্ঠা করে। বিটিআরআই-এর অন্যতম লক্ষ্য হল বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল ক্ষেত্রে দেশে আর্ন্তজাতিক মানের গবেষণা পরিচালনা করা, টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে শিল্প উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্ভুত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল বিষয় দুটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবেই প্রাসঙ্গিক এবং দেশে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন, সেই বাস্তবতায় বিটিআরআই-এর কর্মরত বিজ্ঞানীরা কাজ করছে। ভবিষ্যতে বায়োমেডিক্যাল এন্ড টক্সিকোলজিক্যাল সেক্টরে গবেষণার ক্ষেত্রে বিটিআরআই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে এই নতুন ইনস্টিটিউট বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে।
বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর রূপকল্প (Vision) এবং অভিলক্ষ্য (Mission)
রূপকল্প (Vision):
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।
অভিলক্ষ্য (Mission):
১. দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, মেডিসিন ও টক্সিন ইত্যাদি বিষয়ে যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
২. বায়োমেডিক্যাল ও টক্সিকোলজিক্যাল সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক তথ্যাদি সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।
কার্যাবলি (Functions)
১. প্রাসঙ্গিক চলমান জাতীয় সমস্যা ও জরুরী উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের জন্যে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২. খাদ্যদ্রব্যে বিদ্যমান (কাঙ্ক্ষিত/অনাকাঙ্ক্ষিত) বিভিন্ন প্রজাতির উপস্থিতি/অনুপস্থিতি ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
৩. বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, ফুড সাপ্লিমেন্ট, ব্লাড সিরাম ও মেডিসিনে ২৪ প্রকারের ক্ষতিকারক ভারীধাতু ও মিনারেল-এর উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয় করা।
৪. এনিম্যাল মডেল ব্যবহার করে বিভিন্ন ন্যাচারাল প্রোডাক্ট, ড্রাগ, সিন্থেটিক কম্পাউন্ড-এর এন্টিডায়াবেটিক, হেপাটোপ্রোটেক্টিভ, কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ ইত্যাদি কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
৫. দেশীয় ও বৈদেশিক কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষণ ও বিশ্লেষণ সেবা প্রদান করা।
৬. বিভিন্ন কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বি.এসসি, এমএস, এম.ফিল ও পিএইচ.ডি পর্যায়ের গবেষণার সুযোগ প্রদান ও তত্ত্বাবধান করা।